প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

সেখানে রাত যাপন করা অসহায় মানুষের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। এমন সহায়হীন মানুষেরা যেখানে তাদের পরিবারের জন্য আবাসন, খাবার, শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার পূরণ করতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে তারা ঈদের আনন্দ ভাগ করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের প্রতি সমাজ, রাষ্ট্র কিংবা সামর্থবান মানুষের যথার্থ দায়বদ্ধতা না থাকায় এরা বার বার উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। সমাজে প্রচলিত পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক বৈষম্য চরম আকার ধারণ করেছে। একমাত্র ইসলামী অর্থব্যবস্থা মানুষকে এ ধরণের বৈষম্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। কেননা ইসলামী বিধানের অন্যতম রোজা মানুষকে গরিব-দুঃখীর কষ্ট অনুধাবনের শিক্ষা লাভে সহায়তা করে। রোজার মাধ্যমে সহমর্মিতা ও সহনশীলতার শিক্ষা অর্জিত হয়। এর প্রতিফল হিসেবে আল্লাহর নিকট থেকে পরকালীন চির সুখের আবাস জান্নাত লাভ করা সম্ভব হবে। মুসলমানরা দীর্ঘ এক মাস সিয়াম পালনের পর পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দ উদযাপন করে। কিন্তু সমাজের অসহায় দুঃখী মানুষেরা ধনিক শ্রেণির আনন্দ দেখে তাদের ঈদ কাটায়। আর্থিক দৈন্যতার কারণে তারা ঈদের পরম আনন্দ উপভোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এজন্য তিনি সমাজের এসব সুবিধা বঞ্চিত অসহায় মানুষের ঈদের পূর্ণতা দিতে বিত্তবানদের অসহায়, গরিব-দুঃখীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর শিবিরের উদ্যোগে গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আজ (২৩.০৬.’১৭) এসব কথা বলেন। নগর উত্তর সেক্রেটারী এস কে সিকদার’র পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন শিবির নেতা আ স ম রায়হান, কামাল হোসাইন, কুতুব উদ্দীন, আমান উল্লাহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শিবির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত শতাধিক অসহায় গরীব ও দুঃস্থ মানুষদের মাঝে নতুন কাপড়, সেমাই, চিনি, নারকেল সহ বিভিন্ন ধরণের ঈদ সামগ্রী তুলে দেন।